১৯০৬ সনে অখণ্ড ভারতের রাজস্ব বোর্ডের সদস্য স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত-র বেঙ্গল ফিশারিজ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সম্পর্কে পরিচালিত সমীক্ষার সুপারিশক্রমে ১৯০৮ সনে মৎস্য পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। মৎস্য পরিদপ্তর বিগত ১৯১০ সনে কৃষি অধিদপ্তরের সাথে একীভূত হয়। পরবর্তীতে এ পরিদপ্তর ১৯২৭ সনে বিলুপ্ত করা হয় এবং আবার ১৯৩৭ সনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সনে পরিদপ্তর মৎস্য অধিদপ্তরে উন্নীত হয়।
মাছ ও চিংড়িসহ অন্যান্য জলজ সম্পদের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে উন্মুক্ত জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ ক্ষেত্র হতে প্রাপ্ত সুফলের মাধ্যমে দরিদ্র মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষি, তথা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সাধন মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্দেশ্য।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের অফিস।
এই কার্যালয় প্রধানের পদবী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা । জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে ৫টি উপজেলায় ৫টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয় এবং ২টি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ও ১টি কোয়ারেন্টাইন অফিস রয়েছে। সদর, নাচোল ও শিবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রধানগণের পদবী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রধানগণের পদবী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের অফিস প্রধানের পদবী খামার ব্যবস্থাপক এবং কোয়ারেন্টাইন অফিসের প্রধানের পদবী ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS